খুলনা, বাংলাদেশ | ১৮ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১ মে, ২০২৪

Breaking News

  সাবেক ভূমিমন্ত্রীর দুর্নীতি অনুসন্ধান চেয়ে দুদকে আবেদন
  স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সন্ধ্যায় খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেয়া হবে
  সারাদেশে নানা কর্মসূচিতে পালিত হচ্ছে মহান মে দিবস

গরমে ঘর ঠান্ডা রাখবেন যেভাবে

লাইফ স্টাইল ডেস্ক

যে হারে গরম বাড়ছে তাতে বাইরে বেরনো দায়। খুব দরকার ছাড়া ঘরবন্দি হয়েই কাটাতে হচ্ছে বেশিরভাগ সময়টা। এদিকে শুধু ফ্যানের বাতাসে স্বস্তি পাওয়া মুশকিল হয়ে উঠেছে। তাই দেখা যায় অধিকাংশেরই সঙ্গী হয়ে উঠেছে এসি অথবা এয়ার কুলার। কিন্তু সবসময় এসি বা কুলার চালালে বিদ্যুৎ বিলও তো আসবে আকাশছোঁয়া। এ ছাড়াও বিদ্যুৎ না থাকার আরেক ঝামেলা। তাই চলুন জেনে নেই কয়েকটি ঘরোয়া উপায়, যেভাবে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে ঘর ঠান্ডা থাকবে। দেখে নেয়া যাক

গরমে রুম ঠান্ডা রাখার উপায়

ভারী পর্দা

ঘরের জানলায় অনেক সময়েই হালকা রঙের পাতলা পর্দা ব্যবহার করা হয়। কিন্তু গরমকালে এগুলো বেমানান। ঘরে রোদ আটকানোর জন্য ভারী পর্দা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। জানলায় মাদুরের পর্দাও ব্যবহার করা যায়। এতে ঘর ঠান্ডা থাকবে। সকাল ১০টার পর থেকেই বাড়ির পশ্চিম দিকের বা উত্তর-পশ্চিম দিকে জানলা বন্ধ করে দিতে হবে। নাহলে ঘর বেশি গরম হয়ে যাবে।

বাথরুমের দরজা খোলা থাক
গরমকালে বাথরুমের দরজাটা খোলা রাখতে হবে। এরপর মেঝেতে কয়েক লিটার পানি ঢেলে চালিয়ে দিতে হবে ফ্যান। এতে গর ঠান্ডা থাকবে।

গাছ লাগান
বাড়ির পূর্ব ও পশ্চিম পাশে বেশি করে গাছ লাগান। এটি হচ্ছে দীর্ঘমেয়াদি ইনভেস্টমেন্ট। বাড়ির আশেপাশে গাছ থাকলে সরাসরি সূর্যের আলো পড়ে না ৷ ফলে ঘরের পরিবেশ ঠান্ডা থাকে।

এছাড়া অন্দরমহলে এমন কিছু গাছ রাখতে পারেন যা বাড়ির আবহাওয়া ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। কিছু কিছু গাছের মধ্যে পানির পরিমাণ বেশি থাকে। তার জেরেই এর থেকে গরম হাওয়ার বদলে ঠান্ডা হাওয়া নির্গত হয়। আবার বাতাসে আর্দ্রতাও বজায় থাকে। যেমন-স্নেকপ্ল্যান্ট বাড়ির অক্সিজেন লেভেল বাড়াতে এবং বাতাস দূষণমুক্ত রাখতে সাহায্য করে। এই গাছগুলো বাড়ির ভেতরেই বেশ ভালো হয়। এর ছোট ছোট পাতা হাওয়ায় দোলা লাগলে বেশ ভালো লাগে দেখতে। আবার এই গাছ বাড়ির তাপমাত্রা কমাতেও সাহায্য করে। তবে গাছটি এমন জায়গায় রাখবেন যেখানে সূর্যের তাপ সরাসরি এসে পড়ে।

এর সরু সরু পাতা মিলে ঘরের মধ্যেই একটা বুনো পরিবেশের সৃষ্টি করে। এটা মানসিকভাবে গরমের অনুভব কমিয়ে দেয় বলেই মনে করেন গবেষকরা।

লাইট নয়
এই সময়টা ঘরে লাইট না জালানোই ভালো। এলিডি বা ফ্লুরোসেন্ট লাইটের ব্যবহারই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। এতে ঘর ঠান্ডা থাকবে। একইভাবে বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি বিশেষ করে টিভি না দেখলে চালিয়ে না রেখে বন্ধ করে রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, মোবাইলের চার্জার থেকেও তাপ নির্গত হয়।

সাদা চাদর
সাদা বা হালকা রঙের সুতির কাপড় বিছানার চাদর হিসেবে ব্যবহার করতে হবে। বিছানার চাদর মোটা হলে ঘাম বেশি হয়। সাদা ও হালকা রঙের উপাদান তাপ শোষণ করে না, বরং প্রতিফলিত করে।

পানিতে ঘর ঠান্ডা
৩-৪ বালতি পানি জানলার নিচে রেখে দিন। তাতে পর্দার নিচের অংশটা ডুবিয়ে দিয়ে চালিয়ে দিতে হবে ফ্যান। ফল ধীরে ধীরে ফ্যাব্রিকের মধ্যে দিয়ে উপরের দিকে যায়। তার মধ্যে দিয়ে বাতাস এসে গোটা ঘর ঠান্ডা করবে।

ডিহিউমিডিফায়ার
তীব্র আর্দ্রতা কমে গেলে অনেক সহজে শ্বাস নেয়া যায়। এ জন্য ডিহিউমিডিফায়ার কিনতে পারলে সবচেয়ে ভালো।

সূর্যাস্ত হলেই খুলে দিতে হবে জানলা
দিনের বেলা নয়, সূর্যাস্তের পরে জানলা খুলুন। গ্রীষ্মকালে দিনের বেলা গরম বাতাস বয়। তাই এই সময়টা জানলা বন্ধ রাখাই ভালো। তবে সূর্যাস্তের পরে যখন তাপমাত্রা কিছুটা কমে যায় এবং ঠান্ডা বাতাস বইতে শুরু করে তখন জানালা-দরজা খুলে দিতে হবে, যাতে বাতাস ঘরের ভিতরে প্রবেশ করতে পারে। ঠান্ডা বাতাসে ঘরের গুমোট হাওয়া বেরিয়ে যাবে।

পোর্টেবল ফ্যান
প্রতিদিন দুপুরে ভ্যাপসা গরম থেকে বাঁচতে আপনার টেবিল বা পোর্টেবল ফ্যানটি জানালার কাছে নিয়ে চালিয়ে দিন। এটি বাইরের ঠান্ডা হাওয়া ভেতরে নিয়ে আসবে এবং ঘরের অসহনীয় গরম দূর হবে।

বরফ রেখে ফ্যান চালান
ইনস্ট্যান্ট এসির বাতাসের জন্য টেবিল ফ্যানের সামনে গামলা ভর্তি বরফ রেখে ফ্যান চালিয়ে দিন ৷ নয়তো একটি পানির বোতলে বরফ জমিয়ে ফ্যানের সামনে রাখুন। যখনই ফ্যান চালাবেন, বরফের ঠান্ডা হাওয়া ঘরকে শীতল করে তুলবে৷

প্রয়োজন ছাড়া গ্যাস জ্বালাবেন না
রান্নার সময় ছাড়া গ্যাসের ওভেন বন্ধ করে রাখুন ৷ এতে ঘরের তাপমাত্রা বাড়ে ৷ গ্যাসও বেশি খরচা হয়৷

 

খুলনা গেজেট/এনএম




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!